আজ শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেলিম ওসমানের ১৬ লাখ টাকা জলে!

সেলিম ওসমানের

সেলিম ওসমানের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.মতিউর রহমান মতি’র ভুলে ও স্বজন প্রীতির কারনে সেলিম ওসমানের ১৬ লাখ টাকা জলে গেলো।
আলীরটেক ইউনিয়নের পুরান গোগনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী দেয়াল নির্মান করার জন্য ১৬ লাখ টাকা সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান তার ব্যক্তিগত তহবিল হতে অনুদান দেন। চলতি বছরের মে মাসের ২৯ তারিখ সকালে দেয়ালটি খালে পুরোপুরি ধসে পড়ে।
দেয়াল নির্মানের পুরো টাকা আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির হাতে তুলে দেন সেলিম ওসমান। কিন্তু মতি এলাকাবাসীর মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তার ভাই মজিবর রহমান ওরফে শিক্কা মজিবরকে দেয়াল নির্মানের কাজ দেন।
কিন্তু মজিবর নিন্মমানের সামগ্রী ও বেশী লাভের আশায় তড়িগড়ি করে দেয়াল নির্মান করায় নির্মানের ৩ মাসের মাথায় পুরো পূর্ব পার্শ্বের দেয়ালটি খালে পড়ে যায় এবং উত্তর পার্শ্বে হেলে পড়ে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রবি মিয়া বলেন,বার বার বলা হয়েছে দেয়াল ঘেষে মাটি না রাখার জন্য। কিন্তু ঠিকাদার কথা শুনেনি। যার ফলে এমপি মহোদয়ের অনুদানের ১৬ লাখ টাকায় নির্মিত দেয়ালটি ৩ মাসের মাথায় ধসে পড়লো। তিনি আরো বলেন, আমি, সাগর মাদবর, মিলন মেহেদীসহ সাধারন মানুষ বাধা দিয়েছিলাম বেকু দিয়ে কাজ না করার জন্য। ঠিকারাদার মজিবর ৬৮ লাখ টাকায় ৫ কক্ষের একতলা ভবন নির্মান কাজ করছে।
অপর দিকে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে দেয়াল করায় এবং ৩ মাসের মধ্যে দেয়াল ধসে পড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
তাদের দাবী চেয়ারম্যান মতি ও ঠিকাদার মজিবরের যোগসাযশে ৬/৭ লাখ টাকা ব্যয় করে পুরো টাকা আতœসাত করা হয়েছে। যা এমপি মহোদয় তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।
ঠিকাদার মজিবর ওমরা হজ্ব পালনে সৌদী আরব অবস্থান করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মতিউর রহমান মতি মুঠোফোনে জানান,আমি ঢাকায় আছি বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সর্বশেষ সংবাদ